ALL Bangla Post

সোরা কি ? সোরা মায়াজম এর লক্ষণ ও চিকিৎসা বিস্তারিত।

সোরা / Psora কি? এক কথায় সোরা হলো কুমননের ফল। সোরা মানবদেহের একই অবস্থা তৈরি করার মাধ্যম ইহা যুগ যুগ ধরে মানব দেহকে আক্রমণ করে থাকে।

সোরার মানসিক লক্ষণ

সাধারণত রোগীর মানসিক লক্ষণ এ দেখা যায় বাঁচালতা। রোগী প্রচুর বাচাল টাইপের হয়ে থাকে যা কিছু করে তাহা খুব দ্রুত করে কোন একটি স্থানে যেতে চাইলে আগে থেকেই তৈরি হয়ে থাকে। মনের ভিতর খুবই সচেতনতা দেখা দেয়।

একা থাকতে পারে না। তারা সঙ্গ চায়, অনেক সময় অস্থির হয়ে পড়ে তার পরেও তারা আপনজনের সঙ্গ চায় কোন রকমের সে একা থাকতে পারেনা। সে এতই ভয় পায় যে তাকে কেউ চেপে ধরছে মনে হয়।

সোরা রোগী খুবই চঞ্চল চালু এবং লাজুক টাইপের হয়ে থাকে। তার ভিতরে প্রচুর লজ্জা-শরম দেখা যায়। রোগী কোন স্থানে প্রসাব পায়খানা করতে গেলে সেই স্থান অবশ্যই পরিষ্কার এবং নির্জন বা চারদিকে আটকানো হতে হবে যেহেতু রোগী প্রচুর বাচাল টাইপের লাজুক হয়ে থাকে। রুগী কল্পনা করে বিভিন্ন রকমের স্বপ্ন দেখে মনে মনে সে বিভিন্ন কিছু কল্পনা করে সেটা কিভাবে তাহার ডেভলপ করা যায় বা যেকোন বিষয় নিয়ে সে খুব চিন্তিত।

সোরা রোগীদের আরেকটি বড় লক্ষণ হলো দুঃখের কথা অন্য আরেক-জনকে শেয়ার করে বা বলে দেয়। সে তাহার বন্ধুদের সাথে তার কোন সমস্যা হলে তাহা বলে। এ ধরনের রোগীদের অত্যন্ত স্পর্শকাতরতা দেখা যায়  সোরা রোগীর শরীরে কোনো রকমের ব্যথা অনুভব করলে সেই স্থানে তাহার আপনজন দের বা কাউকে সে ব্যথার স্থানে হাত দিতে দেয় না।

যেহেতু প্রচুর ব্যথা থাকে বা না থাকলেও তার শরীর প্রচন্ড স্পর্শ কাতর স্পর্শ করলেই তার শরীরে শির্শিরানি একটা অনুভূতি হয়ে থাকে।

সোরা বিভিন্ন রকমের স্বপ্ন দেখে যেমন -সে প্রসাব ,পায়খানা করতেছে বা কোন স্থানে মনের সুরে গান গাইতেছে। সে কোন স্থানে উড়িয়া যাইতেছে। মনে হয় যেন তার ডানা দিয়ে উড়িয়ে কোন স্থানে চলিতেছে বা কোন স্থানে সে পড়ে গেছে উপর থেকে নিচে।

পড়ে যাওয়ার একটা কমন লক্ষণ সে মনে করে অনেক সময় ঘাট থেকে নিচে পড়ে যেতেছে বা আসমান থেকে নিচের দিকে চলে আসতেছে এটা হল সোরা এর প্রধান মানসিক লক্ষণ।

গরম রান্না করা খাবার খুব পছন্দ করে।

সোরা রোগীর আরেকটি বড় মানুষের লক্ষণ হলো প্রচন্ড ভয়। বিজলি চমকালে বা কোন বিল্ডিং এর ছাদের উপরে উঠলে, নিচে তাকালে ভয় পায়। সে যেকোন বিপদে ভয় ,মানুষ ডাকাডাকি শুরু করে।

Psora লক্ষণ সমূহ যে সময় বৃদ্ধি পায়

নড়াচড়া করতে পারে না। যদি সে শুয়ে থাকে তাহলে মনে হয় যেন খুব শান্তিতে আছে. কিন্তু যখনই সে নড়াচড়া দিয়ে একটু ওঠাবসা করবে তখনই অসুবিধা দেখা দেবে এবং তাহার সমস্ত রোগ লক্ষণ বৃদ্ধি পাবে।

শীতকালে রোগের বৃদ্ধি। যেকোনো ধরনের ঠান্ডা লাগলে একটা সমস্যা দেখা দেয়। যে কোন সমস্যা হতে পারে এ ধরনের রোগীর বিশেষ করে ঠান্ডা লেগে এলার্জি ,চুলকানি বা যেকোনো কিছু। রোগ যাহাই হোক না কেন রোগীর ঠান্ডায় বৃদ্ধি থাকা চাই।

তারা গোসল করতে চায় না সে যদি গোসল করে তাহলে রোগের বৃদ্ধি পেতে পারে এই চিন্তায় সে গোসল করতে চায় না। সোরা রোগী চারদিন ,পাঁচদিন পর গোসল করে। এমনকি প্রচন্ড গরমে ও গোসল করতে চায়না।

ইহার রোগী অনেক সময় কিছু খাবার খেলে রোগের বৃদ্ধি পায়। যেমন -দুধ, শাক, চর্বি ,পিঠা ,ডাল।

সোরা রোগীদের উপশম সমূহ

গরমের সিজনে রোগী সুস্থ বোধ করে। মনে হয় যেন সে এই দিনের জন্য সবসময় অপেক্ষা করতেছে। শুইলে সোরা উপশম বোধ করে। সব সময় সোরা রোগী শুয়ে থাকতে চায়। রোগী চুপচাপ শুয়ে থাকলে উপশম বোধ করে। মহিলাদের মাসিকের স্রাব আরম্ভ হলে সোরা উপশম বোধ করে।

সোরার প্রধান রোগ সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হল।

  • মাথাব্যথা 
  • ধ্বজভঙ্গ
  • সিজোফ্রেনিয়া
  • মৃগী(Epilepsy)
  • বিভিন্ন রকমের বাত রোগ।
  • চুলকানি,খোস, পাঁচড়া,ফোঁড়া ইত্যাদি।
  • পুরুষ এবং মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব দেখা যেতে পারে।
  • গলার স্বর বসে যাওয়া বা গলা ব্যথা হওয়া।

মোট কথা হলো হাত -পা- মাথা গরম এবং শীতকাতর। গোসলে অনিচ্ছা সোরা প্রধান লক্ষণ।

হোমিওপ্যাথিক এন্টিসোরিক ওষুধ সমূহ

সোরিনাম, সালফার, আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম, আর্সেনিক ,এব্রোটেনাম ,এগারিকাস, অ্যালুমিনিয়াম ,আর্সেনিক আয়োড, এমন কার্ব, এন্টিম ক্রুড, এপিস, অরাম মেট, ব্যারাইটা কার্ব, ব্যারাইটা মিউর, বেলেডোনা, বেনজয়িক এসিড, বারবারিস, বিউফো রানা, ক্যালকেরিয়া, ক্যালকেরিয়া ফস, কার্ব এনি ,কার্বোভেজ ,ক্যাপসিকাম , ক্লিমেটিস ,কক্কাস , কোনিয়াম , ক্রিয়োজোট , ফেরাম ফস ,টেলুরিয়াম, ট্যারেন্টুলা ,স্টানাম ,স্ট্যাফিসেগ্রিয়া,স্ট্রামোনিয়াম, সিপিয়া, সাইলেসিয়া ,রুটা, প্লাটিনা, নেট্রাম সালফ ,নেট্রাম মিউর , মেজেরিয়াম ,ম্যাগনেসিয়া কার্ব , লাইকোপোডিয়াম , কেলি বাইক্রম ,আয়োডিন ,হিপার সালফ, গ্রাফাইটিস ,ক্যালকেরিয়া ফ্লোর, পাইরোজেন,

মনে রাখতে হবে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সবগুলো সমান শক্তিশালী নয়। তাই চিন্তা ভাবনা করে এন্টি সিফিলিস ,এন্টি সাইকোসিস এর মেডিসিন সিলেক্ট করতে হবে।

তবে এন্টিসাইকোটিক ও এন্টি সিফিলিস ওষুধ গুলো হলো এন্টিসোরিক। তাই ওষুধ এবং রোগীর মানসিক লক্ষণগুলো মিলে গেলে যে কোন ওষুধ ব্যবহার করতে হবে এখানে অল্প কিছু  ঔষদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

যৌনরোগ সিফিলিস কি কারণ লক্ষণ প্রতিকার ও টেস্ট ঔষধ

আরো জানুন: হোমিও ওষুধের নাম ও কাজ, চিকিৎসা, খাওয়ার নিয়ম

Please subscribe to my channel and follow

Facebook Page

YouTube