যৌবন কাল স্থায়ীকরণের মধু খাওয়ার উপকারিতা অনেক নিম্নে বিশদভাবে আলোচনা করা হলো

মধু হল একটি তরল পদার্থ। মৌমাছির কঠোর পরিশ্রমের ফসল। এটি সংগ্রহ করতে মৌমাছির ছুটে যেতে হয় বিভিন্ন ফুলের গাছের উপরে।  বিভিন্ন ফুলে ফুলে গিয়ে সংগ্রহ করতে হয় এরপর এটি পেটের ভিতর জমা থাকে প্রাকৃতিক নিয়মে মধু মুখ থেকে লালা হয় মধু বেরিয়ে মৌচাকে রাখা হয়।

স্থানভেদে: পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মধুকে বিভিন্ন নামে ডাকা হলেও মূলত ফুল থেকেই তৈরি।  এটি যে অঞ্চলে পাওয়া যায় সেই অঞ্চলের বিভিন্ন ফুলের চাষ করে থাকে বা প্রাকৃতিক ভাবে যে ফুলগুলো পাওয়া যায় সেই ফুলের মধু ওখানে সংগ্রহীত হয়ে থাকে।

এটি হতে পারে যেকোন গাছের বা ফুলের মধু তবে সাধারণত সুগন্ধি এবং সবচেয়ে ভালো ফুল গাছে বসে থাকে। মধুকে বলা হয় জীবন সুস্থ কারি উপাদান। তাই বলা যায় বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন ফুলের মধু হয়ে থাকে এর নির্দিষ্ট নাই।

যে কোন গাছের হয়। সকল ফুলেই মধু হয় তাই এর উপকারিতা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে এর উপকার হাজারো রকমের হতে পারে যেহেতু এই ফুলগুলো হাজারো গাছের হয়ে থাকে যদি ফুলগুলো হাজারো গাছের হয়ে থাকে তাহলে উপকৃত হবে হাজারো রকমের।

যাদের যৌবন সারা জীবন ধরে রাখতে চান তারা 20 থেকে 22 বছর বয়স থেকে অনিয়মিত ভাবে মধু সেবন করতে হবে। তাহলে যৌবন সারা জীবন ধরে রাখা যাবে। যৌন দুর্বলতা বা এই ধরনের কোনো লক্ষণ তার ভিতরে দেখা যাবে না নিজেকে অনেক শক্তিশালী মনে হবে এবং যৌবন মনে হবে যেন 80 বছরের বৃদ্ধকেও 20 বছরের মত।

মধু খাওয়ার উপকারিতা

বমির রোগে মধুর গুণাগুণ:

যাদের সামান্য কারণেই বমি হয় তাদের ক্ষেত্রে মধু খুবই কার্যকরী এমনকি লঞ্চ-বাস -ট্রেন যেকোনো স্থানে ভ্রমণ করতে গেলে বমি আসে তাদের ক্ষেত্রেও খুবই কার্যকরী সেই মুহূর্তে 10 ফোঁটা মধু মুখে দিলে বমি আসা বন্ধ হয়ে যাবে।

স্মৃতিশক্তি বা মনোযোগ বৃদ্ধি করতে

যে সমস্ত মানুষ বাজার করতে গেলে কিছু অংশ রেখে আসে বা স্মৃতিশক্তি খুবই  দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। অর্জিনাল মধু কমপক্ষে দুই থেকে তিন মাস সেবন করতে হবে প্রতিদিন 10 ফোঁটা সকাল ,দুপুর এবং রাত্রে খাওয়ার পরে   সেবন করলে দারুন কাজ করবে।

হৃদরোগ বা হার্টের দুর্বলতা

যে সমস্ত লোক সামান্য কারণেই বুক দরপর করে এমনকি দোতলা থেকে তিনতলায় উঠতে গেলে বুক দরপর করে বা জোরে দৌড়াতে গেলে প্রচুর কাঁপতে থাকে এবং বুকে ব্যথা হয় সেই সকল ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী।

চুলের যত্নে ব্যবহার: বিভিন্ন রকমের চুলের যত্ন নিতে গেলে ব্যবহৃত হয় বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে

মানুষের শরীরের বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বিশেষ করে রাতে জাগ্রন অতিরিক্ত ধূমপান কায়িক পরিশ্রম বা যে কোন কারনেই হোক না কেন মধু প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।

ফুসফুসের সমস্যা:

আমরা অনেকেই ফুসফুসের যত্ন নেই না। কিন্তু ফুসফুসকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে প্রয়োজন হবে সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করা। এমনকি ফুসফুসের একটি ব্যায়াম আছে সে ব্যায়ামটি করতে হবে। পাশাপাশি মধু সেবন করলে ফুসফুস ভালো থাকবে। যার ফলে আমাদের ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

তাপমাত্রা বাড়াতে মধু খাওয়ার উপকারিতা:

শীতের সময় অনেক মানুষেরই শরীর গরম হয় না। যার কারণে শরীর কাপ্তে থাকে। সেই ক্ষেত্রে সেবন করলে শরীর ন্যাশনাল গত ভাবে শরীরের উত্তাপ হয়ে উঠবে এবং আপনার শরীরকে স্বাভাবিক করে দিতে সক্ষম হবে এই মধু।

রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার

  • গালের মেছতার দাগে অর্জুন গাছের ছাল মিহি করে গুঁড়ো করে এবং সেই সাথে মধু মিশিয়ে গালে লাগালে মেছতার দাগ উঠে যাবে।

হরমোন বৃদ্ধি করে

হরমোন বৃদ্ধি করতে দারুন ভূমিকা পালন করে যেহেতু প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল ছাড়াও বিভিন্ন রকমের উপাদান পাওয়া যায় তাই যা হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

সর্দিতে মধু:

সাধারণ সর্দিতে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান বিশেষ করে যারা সামান্য ঠান্ডা লেগে সর্দি হয়ে থাকে। মোটকথা ঠান্ডা বা গরম যাই হোক না কেন সামান্যতেই সর্দি লেগে যায় তাদের জন্য খুবই কার্যকরী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

অরিজিনাল মধু চেনার উপায়

*মধু অরিজিনাল কিনা সেটা জানার জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহৃত হয়ে থাকে তবে সবচেয়ে যেটা বেশী কার্যকরী সেটা হল কখনো পানির সাথে মিলে যাবে না। এক গ্লাস পানিতে রেখে দিয়ে চামচ দিয়ে নাড়া দিলে কখনো গলবে না সেটি দানা চারো দিকে দেখা যাবে তাই যদি দেখেন পানির সাথে একেবারে মিলে গেছে তাহলে বুঝবেন এটি ভেজাল।

*যে গুলি ভেজালে ভরপুর সেগুলি শীতের দিনে বোতলের নিচে তলানি পড়ে যায় বা কোন একটি পাত্রে রেখে দিলে সেই পাত্রের নিচে জমাট বাঁধে।

*খাঁটি মধু এক গ্লাস পানিতে নাড়া দিলে কখনো ফ্যানা হবে না।

*অরিজিনাল মধুতে কখনো পিপরায় ধরে না।

*হাতে নিলে বুঝা যাবে এটি ভারী ও পুরো তাই যত বেশি ঘন হবে বা হাতের আঙ্গুলের মাথায় নিয়ে ডলাদিলে বুঝা যাবে ঘনত্ব। যত বেশি আঠালো হবে ততবেশি অরজিনাল ভালোমতো।

ধর্মীয় দিক থেকে

  • মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র আল কুরআনের একটি আয়াত নাযিল করেছেন সেটি হল সূরা নাহল যার অর্থ হলো মৌমাছি এ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ননা এই আয়াতে গুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি এই সুরাটি পড়লে বিস্তারিত মধু সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে এর উপকারিতা আমাদের বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাম বলেছেন।
  • হিন্দু ধর্মে এটিকে অমৃত বলা হয়।

কি কি উপাদান পাওয়া যায়

ইহাতে বিভিন্ন রকমের উপাদান পাওয়া যায় যেমন- জিংক,খনিজ লবণ,আয়োডিন,কপার এবং ভিটামিন বি১, ২,৩, ৫, ও ৬।

যৌন সমস্যায় মধু

মধুতে প্রচুর পরিমাণ যৌন উত্তেজনাকর উপাদান থাকে। যার কারণে যেকোনো ধরনের যৌন সমস্যায় মধু খুবই উপকারী। তবে ডায়াবেটিসজনিত যৌন দুর্বলতায় ব্যবহার করা ঠিক হবে না।

কাশির সমস্যায়

বিভিন্ন ধরনের কাশিতে এ ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে শুষ্ক কাশি বা সামান্যতেই সামান্য ঠান্ডা লেগে কাশি হলে খুবই কার্যকরী। এমনকি প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে।

চোখের জ্যোতি বাড়াতে

চোখের জ্যোতি বাড়াতে খুবই কাজ করে বিশেষ করে যারা রাতের বেলায় কম দেখে বা দূরের জিনিস দেখতে পায় না। তাদের ক্ষেত্রে মধু খুবই কার্যকরী।

মুখের সমস্যায় ব্যবহার:

মধু মুখের বিভিন্ন প্রকার রোগে ব্যবহার করা যায় বিশেষ করে মুখে ঘা মুখে অরুচি বা মুখের দুর্গন্ধ হলে মধু পরিমাণমতো সেবন করতে হবে।

শক্তি বৃদ্ধিতে মধু খাওয়ার উপকারিতা

মধুর আরেকটি সবচেয়ে বেস্ট গুন হলো শক্তি বৃদ্ধি করে। মানুষের শরীরের শক্তির একটি ঘাটতি হয় সেই ঘাটতিটি ন্যাচারাল গত ভাবে ঠিক করে দেয়।

দাঁতের সুস্থতায়

দাঁত একটি মহা মূল্যবান সম্পদ কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলেও সত্য যে কোনদিনই কোনো কিছুই স্থায়ী হয় না ,কিন্তু সঠিক নিয়মে দাঁতের যত্ন নিলে মরার আগ পর্যন্ত থেকে যায়।

তাই আমাদের দাঁতের গঠনে খুবই উপকার করে থাকে।দাঁতের গঠনে প্রয়োজন হয় ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস তাই দুইটি অবদানই  মদুতে পাওয়া যায়।

হাড়ের গঠনে: হাড়ের গঠন এবং হাড়ের যাবতীয় সমস্যায় মধু খুবই কার্যকর তাই আপনারা যারা হাড়ের সমস্যা ভুগতেছেন তারা সুন্দরবনের অরিজিনাল মধু সংগ্রহ করে সেবন করুন।

হাঁপানি প্রতিরোধক

হাঁপানির সমস্যায় মধু খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।  বিশেষ করে অল্প বয়সে কাজকর্ম করতে গেলে হাঁপিয়ে যায়। শ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দিলে দুই তিন ফোঁটা নিয়ে চুষে খেলে দ্রুত উপশম পাওয়া যায়।

সাধারণ দুর্বলতায় মধু

সাধারন দুর্বলতা দেখা দিলে মধু জিব্বার উপরে  ৮/১০ ফোটা নিয়ে নিন এরপরে কিছু সময় শুয়ে থাকুন দুর্বলতা কেটে যাবে এর সাথে ভিটামিন সি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়

স্নায়ুবিক দুর্বলতা: হঠাৎ করে স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিলে 10 ফোঁটা সেবন করুন তাহলে উপকার পাওয়া যাবে।

ব্যথায় মধু খাওয়ার উপকারিতা

বিভিন্ন রকমের ব্যথায় ব্যবহৃত হয়। ইহা এমনই একটি প্রডাক্ট শরীরের প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণ করে।  বিশেষ করে হাড্ডি ক্ষয় বা গিরায় গিরায় ব্যথা এবং মাংসের উপরে বা বাতের ব্যথা দারুন কাজ করে। তাই মধুকে রোগ প্রতিরোধক হিসেবে সুস্থ থাকলে খাওয়া যাবে।

রক্তস্বল্পতায়

মধুতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। যার ফলে শরীরের রক্ত উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে যায়। যাদের শরীরে রক্ত স্বল্পতা আছে তারা মধু সেবন করলে অতি তাড়াতাড়ি রক্তের ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। বিশেষ করে মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যার কারণে এমনকি বাচ্চা হওয়ার সময় রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। প্রয়োজনীয় উপাদান ঘাটতি হতে পারে এ ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী।

হজমের ত্রুটি বা বদহজম

যাদের প্রায় বদহজম দেখা দেয় সামান্য একটু রাত জাগা বা অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম যেকোনো কারণে বদহজম হলে। অতিরিক্ত খাবারের সমস্যা হলে বা রান্নার মসলা জাতীয় যেকোনো ধরনের সমস্যার কারণে পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে বদহজম হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে 10 ফোঁটা করে তিনবার সেবন করলে অতি তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়।

মুখের রুচি:

যাদের মুখে রুচি নাই বা কিছু খেতে মনে চায় না।  সেই সমস্ত রোগীদের ক্ষেত্রে দারুন কাজ করে । বাচ্চারা এক থেকে দুই ফোঁটা করে তিনবার সাতদিন সেবন করতে হবে এবং যারা একটু বয়স্ক তাদের ক্ষেত্রে 10 থেকে  ১৫ ফটো অরিজিনাল মধু  ৩/৪ বার সাতদিন সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।

ডায়াবেটিসে মধুর ব্যবহার

যাদের শরীরে ডায়াবেটিস আছে তারা মধু সেবন করতে পারবেন না কিন্তু যদি নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় সেই ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা যেতে পারে।  তবে না করাটাই উত্তম।  মধুতে প্রচুর পরিমাণ শর্করা থাকে যাহা 80 শতাংশ।

যষ্ঠী মধু খাওয়ার উপকারিতা:

বাজার মূল্য:

কোথায় পাওয়া যাবে:

আরো জানুন: হোমিও ওষুধের নাম ও কাজ, চিকিৎসা, খাওয়ার নিয়ম।

Please subscribe to my channel and follow

Facebook Page

YouTube

Translate »