যৌনরোগ সিফিলিস কি ?
সিফিলিস সম্পর্কে কমপ্লিট আইডিয়া
সিফিলিস একটি যৌন সংক্রান্ত মারাত্মক সংক্রমণ ব্যাধি। ইহা কিছু সংখ্যক মানবদেহে পরস্পর অবাধ যৌন মেলামেশার কারণেও হয়ে থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়া গঠিত একটি রোগ। প্রাথমিক পর্যায়ে হলে প্রাইমারি বলা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে। হোমিওপ্যাথিক ভাষায় এটিকে মায়াজম বলা হয়।
কেন হয় বা এর কারণ কি
এটি যদিও একটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ আক্রান্ত হয়ে থাকে কিন্তু এটি ছড়ানোর সহজ একটি মাধ্যম হলো সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে সহবাস করা। এছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে এই রোগটি হয়ে থাকে। তবে এটি বাতাস বা কাপড় চোপড়ের মাধ্যমে ছড়ায় না। সংক্রমিত ব্যক্তির ইনজেকশনের সিরিঞ্জ অথবা মানবদেহের ঢুকানো কোন যন্ত্রপাতি অন্য একজনার শরীরে প্রবেশ করলে হয়ে থাকে।
রোগের লক্ষণ সমূহ:
সিফিলিস লক্ষণ বলতে গেলে তিন ধরনের বলা যায় -তবে এটি যেহেতু একটি মারাত্মক সংক্রমণ হয়ে থাকে সেই কারণে এর লক্ষণ গুলি একটু বিশদ ভাবে আলোচনা করা ভালো। কেননা প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণগুলি মানবদেহে সুপ্ত অবস্থায় থাকে, ইহাকে বুঝা খুবই মুশকিল . তাই চরিত্রগত ও মানসিক এই দুই ভাবে নিম্নে আলোচনা করা হল।
যৌনরোগ সিফিলিস এর মানসিক লক্ষণ
এ ধরনের রোগীর মুখ থেকে কথা একদম বের হতে চায় না বা সহজে কথা বলতে চায় না। প্রশ্ন করলে অনেকক্ষণ পর উত্তর দেয় এবং কিছু ক্ষেত্রে উত্তর না দিয়ে পারলে ভালো মনে করে। তাহাদের হাঁটাচলা কথাবার্তা একেবারেই কম গতিতে তাই এদের দেখে মনে হয় খুব চিন্তিত। সিফিলিসের রোগী একা থাকতে পছন্দ করে। কারো সাথে মেলামেশা পছন্দ করে না কিন্তু যদিও এই সমস্যাটি যৌন বাহিত হয়ে থাকে।
এই সমস্ত রোগীরা তাদের দুঃখ বা কষ্টের কথা গুলো কারো সাথে শেয়ার করে না। নিজের মনের ভিতর লুকিয়ে রাখে এ কারণেও বিভিন্ন রকমের রোগ হয়ে থাকে এমনকি মানসিক রোগ হতে পারে। ইহারা বিভিন্ন রকমের স্বপ্ন দেখে বিভিন্ন সময়ে। বেশিরভাগই তারা রাতে ঘুমের ভিতর অগ্নিকাণ্ডের ,কাল জীবজন্তু এমনকি বিভিন্ন হত্যাকান্ড এইগুলি অনুধাবন করে থাকে।
চারিত্রিক লক্ষণগুলি
প্রতিটি রোগের একটি চরিত্রগত লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায় সেই রকমেরই সিফিলিসের রোগীর একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হাতের গরম অনুভব হয়, যার কারণে সব সময় হাত পানি দ্বারা ভালো করে ধৌত করতে থাকে।
সিফিলিস রোগের বৃদ্ধি
এই সমস্ত রোগীদের বিছানার গরমে রোগের বৃদ্ধি ঘটে। রোগী শয্যায় ঘুমাতে গেলে বা ঘুমের ভিতর তাহার সমস্ত রোগের লক্ষণসমূহ বৃদ্ধি পায়। রাত্রে বৃদ্ধি ঘটে ইহা যেন একটি নিত্য সঙ্গী মাথা ব্যাথা, জ্বর, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি যেকোনো সমস্যাগুলি রাত্রে অধিক বৃদ্ধি পায় এটি নির্দিষ্টভাবে বলা যায় যে সূর্য অস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত হয়ে থাকে। শীতকালে রোগের লক্ষণ গুলি অধিক বৃদ্ধি পায় গোসল অনিচ্ছা দেখা দেয় সারাদিন মোটা জামাকাপড় পড়ে থাকার ইচ্ছা ,জামাকাপড় খুলতে চায় না। কেননা তাহার রোগ লক্ষণ গুলি শীতকালে বৃদ্ধি পায়। এই রোগীকে উপর থেকে দেখলে মনে হয় শীতকাতর বা শীত সহ্য করতে পারে না কিন্তু মূলত তাহা নয় এটি অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা কোনটাই সহ্য করতে পারে না।
সিফিলিস এর উপশম
দিনের বেলা কে রোগী মনে করে যেন সুখের দিন। বেলা বাড়ার সাথে রোগী সুস্থ বোধ করে থাকে। পর্যাপ্ত ঠান্ডায় রোগের উপশম বোধ করে মনে হয় যেন সে একদম সুস্থ হয়ে গিয়েছে। পানি দিয়ে হাত, পা, নাক ,মুখ ধৌত করলে।
সিফিলিস এর চিকিৎসা
সিফিলিস রোগের হোমিওপ্যাথিক কিছু মেডিসিনের নাম উল্লেখ করা হলো তবে এই ঔষধ সেবন করতে হলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে হবে – Syphilium ,,, Hepar , graphites,, phyto ,, Nitric acid ,,, Fluoricum acid ,,, Aurum met,,,, Arsenicum iod ,,,, Mercurus ,,,
এই ঔষধগুলি রোগের লক্ষণ অনুযায়ী 200 থেকে 1 লক্ষ পাওয়ার পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে।
- এলোপ্যাথিক মতে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক সঠিক নিয়মে সেবন করতে হইবে।
সিফিলিস টেস্ট-
সাইকোসিস সম্পর্কে জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
আরো জানুন: হোমিও ওষুধের নাম ও কাজ, চিকিৎসা, খাওয়ার নিয়ম।
Please subscribe to my channel and follow
YouTube