ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে বেশি থাকে ,সেগুলো নিয়ে এই পোস্টের ভিতরে আলোচনা করা হয়েছে।  আপনাদের শরিলে এই ধরনের লক্ষণগুলো দেখা দিলে সাথে সাথে কোন ক্লিনিক অথবা হসপিটালে গিয়ে চেক করুন বা কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা নিন অথবা যেকোন ন্যাচারাল টিপসের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব হবে ইনশাল্লাহ।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ দুর্বলতা সম্পর্কে:

গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ  হলো দুর্বল অনুভব হওয়া।  মনে হয় যেন সে সারাদিন পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু এমনটা নয় স্বাভাবিক ভাবেই তার শরীরে ক্লান্তি অনুভব হয়। কোন কিছু তুলতে গেলে বুকে শূন্যতা  এবং মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়ে। সে ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলে আমাকে একটি ভিটামিন দিন আমার শরীর অনেকটাই ক্লান্ত লাগে। স্মৃতিশক্তি এতটাই দুর্বল বাজারের প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে মনে থাকেনা। এছাড়া বিভিন্ন রকমের মানসিক এবং শারীরিক ভাবে দুর্বলতা দেখা যায়।

খিটখিটে মেজাজ:

এই সমস্ত রোগীদের মন-মেজাজ থাকে খিটখিটে বা রাগান্বিত। তাদের কোন কিছুই ভালো লাগেনা। ধৈর্য শক্তি খুবই কম। বেশিক্ষণ কারো সাথে চলাফেরা করতে পারে না। নির্জনে একা থাকতে ভালোবাসে। মনে হয় যেন কি একটা নিয়ে ভাবতে আছে। মানসিক অবস্থা খুবই দুর্বল কোন কিছুই মনে রাখতে পারে না।

প্রধান ডায়াবেটিসের লক্ষণ সমূহ বিস্তারিত |Symptoms of diabetes bangla

ক্ষুধার অবস্থা:

ডায়াবেটিস রোগের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ  হলো অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগে।  মনে হয় যেন সে সবকিছু খেয়ে ফেলবে। কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার পরে শরীরের ভিতরে একটি অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।  মনে হয় যেন তাহার শরীর ওজন হয়ে গিয়েছে এবং কোন এক জায়গা পড়ে থাকতে মনে চায়। তার শরীরের ভিতরে একটি ক্লান্তি অনুভব করে। মনে হয় যেন সে ভালো কিছু খায় নাই। তার ভিতরে একটি ক্ষুধা ভাব থেকে যায়। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে আপনারা ডায়াবেটিস চেক করে নিবেন।

শরীরের ওজন সম্পর্কে:

ডায়াবেটিসের লক্ষণ রোগীর শরীরের ওয়েট অনেকটা কমতে থাকে।  মনে হয় যেন সে রুগ্ন হয়ে পড়েছে। ক্লান্তি অনুভব তো সাথে আছিই। সে এতটাই ওয়েট কমে যাবে মনে হবে যেন সে কোথাও এক্সারসাইজ করে। খাবার-দাবার কন্ট্রোল করে অথচ এমনটা নয়। সে সবকিছু স্বাভাবিক ভাবেই থাকে এর ভিতর থেকেই তার শরীরের  ওজন কমে যায়। অনেক সময় শরীরে অনেক মাংস থাকলেও মোটা হওয়া সত্ত্বেও, সেই রকমের যতটুকু উচ্চতা অনুযায়ী ওয়েট থাকার কথা সেই অনুযায়ী থাকে না। ফ্যাট বা মোটা দেখালেও তাতে ওয়েট ওজন থাকবে না। 

প্রস্রাব/মূত্র:

এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে প্রসাব এর মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে রাত্রে কিছুক্ষণ পর পর প্রসাব আসে। প্রসাবে একটি মিষ্টি গন্ধ আসে। প্রসাব করা স্থানে প্রায়ই দেখা যায় পিঁপড়া চলে আসে। ঘনত্ব বেড়ে যায় , এছাড়া বিভিন্ন রকমের লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়।

চোখের দৃষ্টি:

ডায়াবেটিসের লক্ষণ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ  সিমটম হলো চোখে ঝাপসা দেখা। রাত্রে হাটা চলা করতে গেলে চোখে অনেকটা জাপসা অনুভূতি হয়।  মনে হয় যেন চোখের সামনেই কিছু একটা ঘুরপাক খাচ্ছে।

এক ধরনের চোখের ভিতর  সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। এক নজরে অনেকক্ষণ তাকাতে পারে না। তাকাইলে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে চোখে ছানি পড়ে। চশমা চেঞ্জ করা যেন একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে। বুঝতে হবে এটি কেন হল। যখনই দেখতে পাবেন তখনই নিকটস্থ ক্লিনিক বা হসপিটালে গিয়ে আপনার সুগারের মাত্রা জেনেনিন।

এলার্জিক:

আরেকটি ডায়াবেটিস রোগের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায় সেটি হল শরীরের চর্মরোগ দেখা দেওয়া। শরীরের কোন স্থানে চুলকানি দেখা দিতে পারে। মাথা এবং বিভিন্ন স্থানে খুশকি জাতীয় সমস্যা হয়ে থাকে। মাথার চুল ফ্যাকাশে দেখাবে। চেহারায় লাবণ্যতা হারিয়ে ফেলবে। চুলকানির স্থানে লাল হয়ে থাকবে। সহসায় চুলকানি কমতে চায় না।

পিপাসার অবস্থান:

ডায়াবেটিসের লক্ষণ হয়েছে কিনা তা জানার জন্য আরেকটি হলো গলা শুকিয়ে যাওয়া। সাধারণত এই রোগীর ঘন ঘন পানির পিপাসা হয়ে থাকে।  গলা শুকিয়ে যায় এতটাই তাহার মনে চায় কোন স্থানে পানি রেখে দেই। শীতের দিনে সাধারণত আমরা অনেকটা পানি কম খেয়ে থাকি। কিন্তু ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে কিছুক্ষণ পর পর পানি খেতে হবে। কেননা তাহার জিব্বার পানি শুকিয়ে যায়।

কাটা ছেঁড়া বা ক্ষত:

শরীরের কোন স্থানে কেটে গেলে তাহা সহসায় শুকাতে চায় না। ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা জানার জন্য পূর্ব সংকেত বলা যায়। আমাদের শরীরে সাধারন কোন কাটা বা খোচা লাগলে এমনিতেই শুকিয়ে যায় ,কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীর  ক্ষতস্থান সহসায় শুকায় না। সামান্য কেটে গেলে বা অপারেশন করার পূর্বে ডায়াবেটিস চেক করে নিতে হয়। কেননা ঐ স্থানে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে।

Diabetes / বহুমূত্র কারণ, মাত্রা, খাদ্য ও 20 প্রশ্নের প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

Please subscribe to my channel and follow

Facebook Page

YouTube