সাইকোসিস কি ?

সাধারণত সাইকোসিস রোগের এমন একটি মনের পরিবর্তন ঘটে থাকে যেখানে ব্যক্তির চিন্তা-চেতনা মনের ভাব ও আচরণের ধরনের পরিবর্তন চলে আসে যা তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। সহজ কথায় কুকর্মের ফল-কে সাইকোসিস বলে।

কারণ: যে সমস্ত রোগীরা তাদের জীবনের শুরু থেকে বিভিন্ন রকমের খারাপ মেয়েদের সাথে যৌনকর্ম করে আসছে বা নিজের প্রতি খুব অবিচল অত্যাচার করে আসছেন তাদের কেই সাইকোসিস আক্রমণ করে থাকে।

সাইকোসিস এর মানসিক লক্ষণ

রোগী সাধারণত স্বল্পভাষী। তারা যত সম্ভব কম কথা বলে তারা একটা কাজ করতে গেলে খুব ভেবে-চিন্তে করে থাকে। মনে হয় যেন তারা এক ঘন্টার কাজ তিন ঘণ্টায় করবে। এটা তাদের মেন্টালিটি ভালো করে পড়বে বা কাজের অনেক চাপ যেটাই বলেন তারা ধীরে ধীরে সে কাজগুলো করবেন এবং কথা বলার সময় খুব ধীরগতিতে ধীরে ধীরে সব কথাগুলো শেষ করবে এটাই সাইকোসিসের মানসিক প্রধান লক্ষণ।

আরেকটি প্রধান মানসিক লক্ষণ হলো রোগী সব কিছুই গোপন রাখবে। তাহার মনের কথা কাউকে বলবে না। এমনকি আপনজনকেও সে এই কথাগুলো এড়িয়ে যাবে। রুগি সাধারণত একটি হিংসুটে হয়ে থাকে। অন্যের সুখ শান্তি দেখলে তার ভিতরে একটি অন্য রকমের কাজ করে এবং সে নিষ্ঠুর হয়ে থাকে। কারো প্রতি তার দয়ামায়া বেশি একটা দেখা যায় না এটাই প্রধান আরেকটি লক্ষণ। বিভিন্ন রকমের স্বপ্ন দেখে অগ্নিকাণ্ড হত্যা কালো জীবজন্তু বিভীষিকা।

সাইকোসিসের চরিত্রগত লক্ষণ

একটি খুবই অবাক করা লক্ষণ হলো রোগীর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অভাব। রোগী তাহার ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করছে কিনা সেটি পুনরায় আবার গিয়ে দেখে। এছাড়াও স্মৃতিশক্তি দুর্বলতা আছে কিন্তু বহু পুরনো কোন ঘটনা তাহার মনে থাকে এটাই হলো সাইকোসিস রোগের চমৎকার লক্ষণ।

চারিত্রিক লক্ষণ হলো কোন রোগ হলে সে ঘনঘন ডাক্তার পাল্টাবে। সে বলবে যে ডাক্তারের ঔষধ মনে হয় ঠিক হয় নাই। এভাবে সে একাধিক ডাক্তার দেখাবে এবং ওষুধ খাওয়ার সময় একটা ওষুধ সেবন করলে কাজ না করলে দ্বিতীয় ওষুধ খেতে চায় না।

সে অন্য ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে আমার ওষুধ খাবে এবং মনে হয় যেন পেট কে ফার্মেসি বানিয়ে ফেলবে এরকম মনে হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে নানা বর্ণের মাংস বৃদ্ধি পেতে পারে যেমন টিউমার, আঁচিল, বাত রোগ, টাক পড়া ইত্যাদি এর চরিত্রগত লক্ষণ।

শারীরিক লক্ষণ সমূহ

  • সাধারণত সাইকোসিসের শারীরিক লক্ষণ দেখা যায় ঝড় বৃষ্টির সময় গন গন প্রসাব এর বেগ হয়ে থাকে।

রোগের বৃদ্ধি ঘটে

  1. ভেলা 11 টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই রোগের বা রোগীর বৃদ্ধি ঘটে।
  2. সাধারনত বাংলাদেশের ছয় ঋতু হয়ে থাকে। কিন্তু ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগের লক্ষণ বৃদ্ধি পায়।
  3. রোগীর শরীরের বাম দিকে বেশি আক্রমণ করে থাকে এই সংক্রমণ।
  4. রোগী সারা দিন ভালো থাকে কিন্তু যখনই সে বিশ্রাম নিতে যাবে তখন শরীরের রোগ লক্ষণ গুলি বৃদ্ধি পাবে।
  5. রোগের বৃদ্ধি করার আরেকটি অন্যতম সময় হল খাবার খেতে গেলে। কোন কিছু খেতে গেলে হাঁচি-কাশি সহ বিভিন্ন রকমের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এমনকি চুলকানি এলার্জি বা ব্যথা যাই বলেন না কেন খাবার সময় রোগের কথা মনে পড়ে যায় বা মনে পড়লেই বৃদ্ধি পেয়ে থাকে এক কথায় খাবারের সময় সকল রোগের বৃদ্ধি ঘটে রোগীর।

সাইকোসিস রোগীর উপশম

শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগী ভালো থাকে। রোগীর একটি প্রদান ভালোলাগার অবস্থা হল ঘুরে বেড়ানো রোগী চায় বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে। সূর্যঅস্ত হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা একটু ভালো থাকে। খেলাধুলা পছন্দ করে ,সেই সাথে যাতে নড়াচড়া করতে পারে। শুইতে গেলে বা ঘুমিয়ে পড়লে শুইলে উপশম। রোগীর কোন স্থানে ব্যথা হলে সেই স্থানে টিপে দিলে বা চাপ দিলে ব্যথার উপশম হয়। যদি পেটে বা বুকে ব্যথা,মাথা ব্যাথা হলে যদি সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে ঝুঁকে থাকে তাহলে ব্যথার কিছুটা উপশম হয়।

সাইকো রোগের আরেকটি প্রদান লক্ষণ হলো উপর হয় শুয়ে থাকা যদি উপর হয় শুয়ে থাকে তাহলে ব্যথা বা কোন রোগ উপশম লাভ করে।

প্রতিকার-, ঔষধ-

যৌনরোগ সিফিলিস কি কারণ লক্ষণ প্রতিকার ও টেস্ট ঔষধ

সোরা কি? সোরা মায়াজম এর লক্ষণ ও চিকিৎসা বিস্তারিত

আরো জানুন: হোমিও ওষুধের নাম ও কাজ, চিকিৎসা, খাওয়ার নিয়ম।

Please subscribe to my channel and follow

Facebook Page

YouTube

Translate »