যৌন দুর্বলতায় জিনসেং এর উপকারিতা এর দাম বিস্তারিত (Ginseng A to Z )
জিনসেং কি বা পরিচয়:-
Ginseng :- এটি Araliaceae পরিবারের এই গাছটি দেখতে লতার মতো পেচানো এক ধরনের বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। মানুষের মত আকর্তে। কিন্তু এটি সাধারণত নরম প্রকৃতির হয়ে থাকে।
এটি আখের রসের মত চিবিয়ে চিবিয়ে রস গুলো খাওয়া হয় বর্তমানে বিভিন্ন রকমের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে এই রস গুলো সংগ্রহ করে তারা সেবন করে থাকে। যাহা একেবারে নরম এবং কোন রকমের অসুবিধা হয় না।
জিনসেং যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া এই গাছটির উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না।
এক কথায় যৌনশক্তির টনিক হিসেবে কাজ করে। এই গাছটি পুরুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী তাই এর বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হল।
এই গাছটির উৎপত্তি বা যে দেশে বেশি সংখ্যক পাওয়া যায়।
এই উদ্ভিদটি সাধারণত ঠান্ডা পরিবেশন জন্মে। সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় এশিয়া মহাদেশের বিশেষকরে কোরিয়া , পূর্ব সাইবেরিয়াতে বা চীনে,কুরিয়ান মানুষেরা সচরাচর এই গাছের নির্যাস বা শোধন করে বিভিন্ন মাধ্যমে খেয়ে থাকে।
তাদের অঞ্চলে এভেল এবেল পাওয়া যায় বিধায় তারা কখনো জনশক্তিতে দুর্বল হয় না এবং তাদের দাম্পত্য জীবন খুবই সুখী হয়ে থাকে।
যে কোন প্রকার দুর্বলতা জন্য তারা এই গাছটি সংগ্রহ করে থাকে তবে বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে হয়ে থাকে বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশের প্রতিটা দেশে এই উদ্ভিদের চাষ হয়ে থাকে।
পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রে এই উপাদানটি রপ্তানি করার জন্য চাইনিজরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষাবাদ শুরু করে দিচ্ছে। তারা চাচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে চাষাবাদ শুরু করে তারা এগিয়ে নিয়ে যায় পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে।
প্রথমত বাণিজ্যিকভাবে শুরু করে 1122 খ্রিস্টাব্দে পুঞ্জীতে। বর্তমানে এটি কোরিয়ার সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত উৎপাদনকারী এলাকা। তারা পাহাড় অঞ্চলে ও উৎপাদন করে। তবে মজার ব্যাপার হলো 400 থেকে 500 মিটার উচ্চতায় চাষ করে থাকে।
প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথমদিকে এলাকায় জিনসেং উৎসব হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা চাষাবাদ দেখতে আসে।
Sexual Health Benefits Ginseng Eating Rules ( যৌন দুর্বলতায় জিনসেং )
জিনসেং এর উপকারিতা / গুণাগুণ :-
- পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে ( অশ্বগন্ধা )
- দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ করে।
- পুরুষের যৌন চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে সক্ষম।
- এটি সঠিক নিয়মে সেবন করলে যৌবন সারা জীবন ধরে রাখা সম্ভব।
- মানুষের চাহিদা দুই রকমের শারীরিক ও মানসিক দুটোই মেটাতে সক্ষম।
- মানসিক প্রশান্তি আনয়ন করে।
- উদ্যম ও পরিশ্রমী হওয়ার সহায়তা করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।
- যৌন দুর্বলতা জনিত মানসিক সমস্যা সমাধান করা।
- অফিশিয়াল বা সকল কাজে মনোযোগ বাড়িয়ে দেয়।
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চিন্তা চেতনা বাড়িয়ে দেয়।
- শরীরের ফ্যাট কমাতে সহায়তা করে।
- হার্ড মস্তিষ্ক ঠিকঠাক রাখতে সহায়তা করে।
- হরমোন বৃদ্ধিতে দারুন কাজ করে।
- নারী ও পুরুষের বন্ধ্যাত্ব রোগের উপকার পাওয়া যায়।
- ডায়াবেটিস জনিত যৌন দুর্বলতা দারুন কাজ করে।
- শারীরিক লাবণ্যতা বাড়িয়ে দেয়।
- ফুসফুসের রোগ
- স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
- হিক্কা বন্ধ করতে দারুন ভূমিকা পালন করে।
- একটি বড় জিনসেং এর গুণাগুণ ঝিনঝিনি বাত রোগে হোমিওপ্যাথি মেডিসিন ২০০ ভালো কাজ করে।
এটি যেভাবে বাজারে সাধারণত পাওয়া যায়
সিরাপ : – জিনসেং সিরাপ সম্পর্কে কিছু ভালো দিক এবং খারাপ দিক দেখতে পাওয়া যায় , কেননা এটি প্রচুর পরিমাণে অপপ্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
বাজারে বিভিন্ন নামে এই জিনসেং বিক্রি হয়ে থাকলেও অরিজিনালিটি পাওয়া মুশকিল তাই যাচাই-বাছাই করে ভালো কোম্পানির সেবন করুন। বেশিরভাগ নকল ওষুধ সিরাপ আকারে বের করা হয়ে থাকে।
ট্যাবলেট : – এটি বাংলাদেশে বিভিন্ন কোম্পানির ট্যাবলেট আকারে বের হয়েছে, তাই ভালো কোম্পানির ট্যাবলেট সেবন করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
খাঁটি পাউডার : – খাঁটি পাউডার আধা চামচ থেকে দুই চামচ পর্যন্ত সেবন করা যায় সমস্যা অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
হোমিওপ্যাথিতে ডায়ালেশন : – ক্রনিক ডিজিজ এর ক্ষেত্রে 200 বা এর চেয়েও বেশি মাত্রায় হোমিওপ্যাথিক ডাইলেশন সেবন করলে স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায়, তবে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
মাদার টিংচার : – সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হলো মাদার টিংচার। এটি সকল হোমিওপ্যাথিক দোকানে পাওয়া যায়। সকল ডাক্তাররাই এই ওষুধটি ব্যবহার করে থাকে, এটি সেবন মাত্রা হল – ১০ থেকে ৩০ ফোটা পর্যন্ত, দুই চামচ পানির সাথে মিলিয়ে সেবন করতে হবে।
ডাক্তার মোহাম্মদ শওকত আলীর মতে এটি যৌন সমস্যার জন্য সবচেয়ে বেশি টনিক হিসেবে কাজ করে এবং এর মাদার টিংচার ৮০ পার্সেন্ট কোনো লক্ষণ ছাড়াই যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা যায়।
এর দাম :- জিনসেং এর মূল্য বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন দামে বিক্রি করে। একটা ধারণা এখানে দেওয়া হলো – মাদার টিংচার জার্মানি 30ml 400 টাকা বা তার বেসি বাংলাদেশি 650 এমএল এর বোতল 600 থেকে 1000 টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।
ডাইরেকশন 30ml 100 টাকার মতো এর চেয়ে কম বেশি হতে পারে কোম্পানি অনুযায়ী। (সিরাপ 300 থেকে 400 টাকা 450ml ) ট্যাবলেট পার পিস 10 থেকে 30 টাকা পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায়।
এর ব্যবহার : – ডায়ালেশন 3 থেকে 5 ফোঁটা করে 30 পাওয়ার তিনবার এবং 200 দুইবার তার চেয়ে বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। মাদার টিংচার বা অন্যান্য উপাদানগুলির সেবনবিধিঃ উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
ক্ষতিকর দিকসমূহ / পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : – অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে বমি ভাব হওয়া, মাথা ভারী হয়ে যাওয়া। ঝিমানো দেখা দিতে পারে,এমনকি পাতলা পায়খানা ও হতে পারে।
কোথায় পাওয়া যায় : – এটি বাজারে বা নিকটস্থ ভালো ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে এবং হোমিও, ইউনানী , এবং আয়ুর্বেদিক দোকানে পাওয়া যাবে।
উপরোক্ত এক একটি রোগের চিকিৎসায় আলাদা নিয়মে ওষুধ সেবন করতে হবে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ ব্যবহার করুন।
এছাড়াও আরও জানতে চাইলে নিম্নের লিঙ্কগুলি ক্লিক করুন।